ঢেঁড়সের যত উপকারিতা
গ্রীষ্মকালীন সবজি ঢেঁড়স, তবে এখন বারো মাসই বাজারে পাওয়া যায়। স্বাদহীন, পিচ্ছিল এ সবজি যতই মসলা দিয়েই রান্না করা হোক কেন, খেতে সুস্বাদু লাগে না।
কিন্তু স্বাদহীন এ সবজির পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক। এ সবজিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন এ, সি, কে এবং বি৬-এর মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান।
পুষ্টিবিদদের দাবি, ঢেঁড়স ভেজানো পানি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এছাড়া এ পানীয়ের রয়েছে অনেক গুণ।
হার্ট ভালো রাখে
রক্তে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারয়েড্স এবং এলডিএল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ঢেঁড়স ভেজানো পানি। এছাড়া এর মিশ্রিত পানিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও। যা প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হার্টের শিরা এবং ধমনি সংক্রান্ত জটিলতা অনেকটাই নিরাময় হয় এ পানীয় খেলে। ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে ‘পলিফেনল’, যা সহজে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
ঢেড়সের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা বিপাকক্রিয়া চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে। বিপাকহার ভালো হলে শারীরিক সব কাজ ভালো হয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে ইনসুলিনের কার্যকারিতা সঠিকভাবে পরিচালিত হয় ঢেঁড়স মিশ্রিত পানি খেলে। তবে, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার মতো তথ্যপ্রমাণ এখনও মেলেনি।
চোখের জন্য ভালো
ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এ ভিটামিনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। গ্লুকোমা, অল্পবয়সে চোখে ছানি পড়ার মতো সমস্যা রুখে দিতে পারে ঢেঁড়স মিশ্রিত পানি। এছাড়া এ সবজির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জ়ানথিন— এসব উপাদানই দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
প্রথমে বেশ কয়েকটি ঢেঁড়সের বোঁটা কেটে, ভালো করে পানি দিয়ে পরিষ্কার নিন। এবার কাচের পাত্রে পানি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন সকালে সে পানি থেকে ঢেঁড়স ছেঁকে তুলে নিন। এবার ঢেঁড়স ভেজানো পানি হালকা গরম করে নিন। বেশি ফোটানোর প্রয়োজন নেই। ঘন হয়ে গেলে খেতে অসুবিধা হতে পারে। শুধু ঢেঁড়স মিশ্রিত পানি খেতে ভালো না লাগলে অল্প মধু, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।