পুষ্টিগুণে ভরপুর জাম
এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কালো জাম। কালো জাম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিতেও ভরপুর।
জামের বীজ গুঁড়ো করে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে জাম। কমায় রক্তাল্পতার ঝুঁকিও। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী জাম।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে
ভিটামিন ‘সি’ এবং আয়রনে ভরপুর জাম রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়লে শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হয়। রক্তের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছলে শারীরবৃত্তীয় কাজ কর্ম সঠিক হয়।
ব্রণের সমস্যা দূর করে
জামের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট’ জাতীয় একটি উপাদান। যা তৈলাক্ত ত্বক থেকে অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।
চোখের যত্নে
চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন ‘এ’। জামের মধ্যে এই ভিটামিন রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। তাই চোখ ভালো রাখতে গেলে যে কয়েকটা দিন জাম পাওয়া যায়, খেয়ে নেওয়াই ভালো।
হার্টের জন্য ভালো
১শ গ্রাম জাম থেকে পটাশিয়াম পাওয়া যায় প্রায় ৫৫ গ্রাম। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পটাশিয়াম। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ধমনী সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে জাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
মাড়ির সমস্যায়
মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা দাঁতের সমস্যা মেটাতেও কার্যকরী জাম। এ ক্ষেত্রে জাম খাওয়ার পাশাপাশি জামের গুঁড়ো মাজন হিসেবে ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়।