বাংলাদেশের ৫০ বছরে দেশটির সংবিধানে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে ১৭ বার। সংসদীয় ব্যবস্থা পাল্টে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা যেমন প্রবর্তন করা হয়েছিল, অন্যদিকে দু'বার সামরিক শাসনকে বৈধতা দেয়া হয়েছিল সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে।
সামরিক শাসকের ছাতার তলায় 'নির্বাচিত' সংসদে সংবিধান সংশোধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ঘোষণা করা হয় ১৯৮৮ সালে। পরে রাজনৈতিক সরকারগুলো বিভিন্ন সংশোধনী আনলেও তারা রাষ্ট্রধর্মের জায়গায় আর হাত দেয়নি।
গণতন্ত্রের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের বিজয়ের পর ৯০ এর দশকের শুরুতে দেশে আবার সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংসদে সংবিধানের এই সংশোধনী পাস হয়েছিল।
নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক সরকারের বদলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। আবার পরে পাল্টা সংশোধনী এনে সেই তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক দ্রুততার সাথে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে।
উনিশ'শ বাহাত্তর সালের ১০ই এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের গণপরিষদের (সংসদ) যাত্রা শুরু হয়েছিল। গণপরিষদে সংবিধান বিল গৃহীত হয়েছিল ৪ঠা নভেম্বর। উনিশ'শ বাহাত্তর সালেই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে কার্যকর হয়েছিল সংবিধান।
এত অল্প সময়ে আর কোন দেশে সংবিধান প্রণয়নের নজির নেই বলে বলা হয়ে থাকে।
সংশোধনী নিয়ে বিতর্ক
তবে সংবিধানে বার বার সংশোধনী আনার পর অনেক বিষয় নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদেই সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে চার বার। শুধু একটি সংসদে অর্থ্যাৎ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মেয়াদের সপ্তম সংসদে কোন সংশোধনী আনা হয়নি।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণ পরিষদের সদস্য এবং রাজনীতিকদের নিয়ে ৩৪ সদস্যের কমিটি করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল। আট মাসের মধ্যেই কমিটি সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিল।
সেই কমিটির প্রধান ড: কামাল হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, মূল সংবিধানের মৌলিক বিষয়গুলোতে বার বার সংশোংধন যে করা হয়েছে, তা অনাকাঙ্খিত।
অন্যতম একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড: শাহদ্বীন মালিক মনে করেন, বেশিরভাগ সংশোধনী হয়েছে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি এবং দলের রাজনৈতিক স্বার্থে এবং সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক অধিকার সংকুচিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল, সেই সংবিধানে মৌলিক বিষয়গুলোতে সংশোধন বন্ধ করা উচিত।
প্রথম সংশোধনী: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান কার্যকর করার পর সাত মাসের মধ্যেই তাতে প্রথম সংশোধনী আনে।
এই সংশোধনীর মূল কারণ ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আইন তৈরি এবং তা কার্যকর করার বিষয় আনা হয় এই সংশোধনীতে। পরে এর আওতায় আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ আইন করা সম্ভব হয়।
সংবিধানের এই প্রথম সংশোধনী বিল পাস হয় ১৯৭৩ সালের ১৫ই জুলাই। এর দু'দিন পরই রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করেছিলেন।
সংসদে বিলটি এনেছিলেন সে সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর। সংসদে উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে শুধু তিনজন সদস্য ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন।
দ্বিতীয় সংশোধনী: মৌলিক অধিকার স্থগিত এবং জরুরি অবস্থা
সংবিধানে প্রথমে নিবর্তনমূলক আটক এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান ছিল না।
দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে সংযোজন করা হয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং নিবর্তনমূলক আটকের বিধান।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে সে সময় মৌলিক অধিকারগুলো স্থগিত করার বিধানও আনা হয়।
কোন প্রেক্ষাপটে বা পরিস্থিতিতে এমন ব্যবস্থা নেয়া যাবে, সে সম্পর্কে সংশোধনীতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ গোলযোগ বা বহিরাক্রমণে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন বাধাগ্রস্ত হলে তখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যাবে।
প্রথম সংশোধনী আনার দুই মাস পরই ১৯৭৩ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর এই দ্বিতীয় সংশোধনী বিল পাস করা হয়। প্রথম সংসদে এই বিলটিও উত্থাপন করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর।
বিলটি পাসের সময় তৎকালীন বিরোধীদল এবং স্বতন্ত্র কয়েকজন সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন।
তৃতীয় সংশোধনী: বাংলাদেশ-ভারত সীমানা বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমানা নির্ধারণ সর্ম্পকিত একটি চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য এই সংশোধনী আনা হয়।
দুই দেশের সীমান্ত চুক্তিতে ছিটমহল এবং অপদখলীয় জমি বিনিময়ের কথা ছিল।
সে ব্যাপারেই বিধান করা হয় সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে।
সংশোধনী বিলটি ২৬১টি ভোট পেয়ে পাস হয়েছিল ১৯৭৪ সালের ২৩ শে নভেম্বর। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছিল ৭টি। সে সময়ের আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর বিলটি সংসদে এনেছিলেন।
এই সংশোধনী আনার ৪০ বছর পর ২০১৫ সালের জুলাই মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ছিটমহলগুলো বিনিময় হয়েছে।
চতুর্থ সংশোধনী: একদলীয় শাসন বাকশাল এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে আমূল বদলে ফেলা হয়েছিল।
বহুদলীয় সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করে প্রবর্তন করা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা। সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপতির হাতে। চারটি পত্রিকা রেখে অন্য সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
সেই শাসন ব্যবস্থা বাকশাল নামে পরিচিত।
সংশোধনী বিলটি সংসদে পাস হয় ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি। সেদিনই রাষ্ট্রপতি বিলটি অনুমোদন করেছিলেন।
তখনকার সরকারি দল আওয়ামী লীগেরই দু'জন সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল এম এ জি ওসমানি এবং মঈনুল হোসেন সংসদে ভোটের সময় অধিবেশন বর্জন করেছিলেন।
আর সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ২৯৪ জন সংসদ সদস্য।
এই মৌলিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের যে পদক্ষেপ নিয়ে এখনও সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়, তা হচ্ছে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর প্রত্যাশা অনুযায়ী গণতন্ত্রের সুফল মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়নি। সে কারণে রাজনীতি এবং অর্থনীতি সব দিক থেকেই বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে প্রেক্ষাপটকে ব্যাখ্যা করেন ভিন্নভাব।
তারা বলেন, দুর্নীতি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ সব মিলিয়ে ভয়াবহ সংকটের মুখে বাধ্য হয়ে বাকশাল গঠন করা হয়েছিল।
শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালের ২৫শে মার্চ ঢাকায় এক জনসভায় বাকশাল নিয়ে বক্তব্যে ঘুনেধরা সমাজ পাল্টানোর কথা বলেছিলেন।
তবে সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর তা পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগেই পট পরিবর্তন হয়। উনিশ'শ পঁচাত্তর সালের ১৫ই অগাষ্ট সেনাবাহিনীর এক দল সদস্য শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যা করে।
পঞ্চম সংশোধনী: সামরিক শাসনের বৈধতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সামরিক শাসন যে জারি করা হয়েছিল, তার বৈধতা দেয়া হয়েছিল এই সংশোধনীর মাধ্যমে।
উনিশ'শ পঁচাত্তর সালের ১৫ই অগাষ্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে সামরিক শাসন জারি করেছিলেন।
শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের বিচার যাতে করা না যায়, সে ব্যাপারে তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশও জারি করেছিলেন। তিনি মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন।
সে সময় সেনাবাহিনীতে একের পর এক অভ্যূত্থান পাল্টা অভ্যূত্থানে ভেঙে পড়েছিল চেইন অব কমাণ্ড।
এমন প্রেক্ষাপটে এক অভ্যূত্থানের মধ্যে (সিপাহী অভ্যূত্থান হিসাবে পরিচিত) তৎকালীন সেনা প্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর।
তিনি এক দলীয় শাসন ব্যবস্থার বদলে বহুদলীয় ব্যবস্থা আবার চালু করেন। তবে সংসদীয় পদ্ধতিতে ফিরে না গিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি বহাল রাখেন।
তিনি জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনেন। বাঙালির বদলে করা হয় বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।
উনিশ'শ পঁচাত্তর সালের ১৫ই অগাষ্টের পর থেকে ১৯৭৯ সালের ৫ই এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক শাসনের সব কর্মকাণ্ডকে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম একটি মৌলিক বিষয় ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা।
জিয়াউর রহমানের সরকার সেখানে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমেই 'বিসমিল্লহির রাহমানির রাহিম' যুক্ত করে।
উনিশ'শ উনআশি সালের ৬ই এপ্রিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদে তখনকার সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান পঞ্চম সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করেছিলেন। এটি পাস হয়েছিল ২৪১-০ ভোটে।
তবে দীর্ঘ সময় পর ২০১০ সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে এই পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ষষ্ঠ সংশোধনী: বিচারপতি সাত্তারের বৈধতা
জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর সংসদে সংবিধানের এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথ নিশ্চিত করা হয়েছিল।
উনিশ'শ একাশি সালের ৩০ শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর এক দল সদস্য রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে।
এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যূত্থানে তার নিহত হওয়ার ঘটনার পর তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।
উনিশ'শ একাশি সালের ৮ই জুলাই দ্বিতীয় সংসদের অধিবেশন ডেকে সংবিধানের ষষ্ঠ সংশোধনী বিল পাস করা হয়।
এর মাধ্যমে বিচারপতি সাত্তারের উপরাষ্ট্রপতি পদে বহাল থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিত করা হয়।
সপ্তম সংশোধনী: বৈধতা পায় এরশাদের সামরিক শাসন বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারকে হটিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন দেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
তিনি ক্ষমতা দখলের পর থেকে ১৯৮৬ সালের ১০ই নভেম্বর পর্যন্ত সামরিক শাসন বহাল রেখেছিলেন। তৃতীয় সংসদে সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে জেনারেল এরশাদের সেই সামরিক শাসন এবং সে সময়ের সব কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেয়া হয়েছিল।
সামরিক শাসনের বৈধতা দেয়ার এই সপ্তম সংশোধনীকেও উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে ২০১০ সালে।
অষ্টম সংশোধনী: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি পুরোপুরি পাল্টে দেয়া হয়।
জিয়াউর রহমানের শাসনে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম যুক্ত করা হয়েছিল।
আর জেনারেল এরশাদের শাসনামলে সংবিধানে এই অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় থেকে ছোট ছোট কয়েকটি দলকে নিয়ে ১৯৮৮ সালে সংসদ নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত চতুর্থ সংসদে অষ্টম সংশোধনী বিলটি পাস করা হয়েছিল।
তার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল ১৯৮৮ সালের ঐ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল।
বিএনপির সিনিয়র নেতা মওদুদ আহমেদ সে সময় জেনারেল এরশাদের জাতীয় পার্টির নেতা হিসাবে সংসদ নেতা হয়েছিলেন। তিনিই অষ্টম সংশোধনী বিলটি সংসদে তুলেছিলেন। বিলটি পাস হয়েছিল ২৫৪-০ ভোটে।
জেনারেল এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী বামপন্থী দলগুলো ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এবং এমনকি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপিও ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার ঐ সংশোধনীর বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছিল।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, সব দলের তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জেনারেল এরশাদ তখন সংবিধানে এই অষ্টম সংশোধনী এনেছিলেন।
অষ্টম সংশোধনীতে আরেকটি বড় বিষয় আনা হয়েছিল। সেটি হচ্ছে ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা।
তবে সে সময়ই সর্বোচ্চ আদালত ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি বাতিল করে দিয়েছে।
নবম সংশোধনী: একজন কতবার রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন উনিশ'শ উননব্বই সালের ১১ই জুলাই এই সংশোধনী পাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির ব্যাপারে কিছু বিধান যুক্ত করা হয়।
এর ফলে রাষ্ট্রপতি পদে কোন ব্যক্তি পর পর দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। এছাড়া রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন একই সাথে করার বিষয়টিও ছিল।
দশম সংশোধনী: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জেনারেল এরশাদের শাসনের শেষদিকে ১৯৯০ সালের ১২ই জুন সংশোধনীটি সংসদে পাস করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান আনা হয়েছিল এই সংশোধনীতে।
একাদশ সংশোধনী: বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের দায়িত্ব গণঅভ্যূত্থানে ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদ সরকারের পতনের পর পঞ্চম সংসদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন মাসের অন্তবর্তীকালীন বা অস্থায়ী একটি সরকার গঠন করা হয়েছিল।
সে সময় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ আন্দোলনকারী সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সেই অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল।
সেজন্য বিচারপতি আহমদকে প্রথমে উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং এরপর তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর নির্বাচন শেষে প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে গিয়েছিলেন।
এই দু'টি বিষয়ে বৈধতা দেয়া হয়েছিল সংবিধানের একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।
উনিশ'শ একানব্বই সালে সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পঞ্চম সংসদে এই সংশোধনী পাস করা হয়।
দ্বাদশ সংশোধনী: সংসদীয় পদ্ধতিতে ফেরত দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পাল্টিয়ে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি পুনরায় প্রবর্তন করা হয় দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।
জেনারেল এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে জয়ী বিএনপি সরকার গঠন করলে দলটির নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হয়েছিলেন।
বিএনপিকে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন নিতে হয়েছিল। তবে সরকার গঠনে সমর্থন দিলেও জামাত সেই সরকারে অংশীদার ছিল না, সেটি ছিল বিএনপির সরকার।
আর আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা বসেছিলেন বিরোধীদলীয় নেতার আসনে।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতৃত্বে দু'টি জোট ও বামপন্থী পাঁচটি দলের জোট-এই তিনটি জোটের রুপরেখায় সংসদীয় পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
সংসদীয় পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য দ্বাদশ সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন করেছিলেন তৎকালীন সংসদ নেতা খালেদা জিয়া।
এই সংশোধনী বিল পাস হয়েছিল সরকারি এবং বিরোধী দলের সদস্যদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে। ১৯৯১ সালের ৬ই অগাষ্ট সংসদে সংশোধনীটি পাসের ক্ষেত্রে ৩০৭-০ ভোট পড়েছিল।
ত্রয়োদশ সংশোধনী: তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই সংশোধনীর মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তিন মাস মেয়াদের 'নির্দলীয়'-'নিরপেক্ষ' তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল।
একজন প্রধান উপদেষ্টা এবং দশ জন উপদেষ্টা নিয়ে এই সরকার গঠিত হতো।
এরশাদ সরকারের পতনের পর একটি অস্থায়ী সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছিল।
সেই সরকারের সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সহ বেশিরভাগ দল এবং অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সংসদে এবং রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগসহ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী বিরোধী দলগুলোর ১৪৭ জন সংসদ সদস্য একযোগে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ১৯৯৪ সালের ২৮শে ডিসেম্বর।
বিরোধী সদস্যদের আসন শূণ্য করা না করার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত অনেকদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত ১৯৯৫ সালের অগাষ্ট মাসে আসনগুলো শূণ্য ঘোষণা করে উপনির্বাচন করার উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল।
উপনির্বাচন করতে না পেরে বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের মুখে বিএনপি সরকার ১৯৯৫ সালের ২৪শে নভেম্বর পঞ্চম জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ, বামপন্থী দলগুলো এবং জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনকারী দলগুলোর বর্জনের মুখে বিএনপি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন করেছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি। বিএনপি ছাড়া ঐ নির্বাচনে শুধু একটি দল ফ্রিডম পার্টির নেতা চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা এবং ১০জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদে এসেছিলেন।
ষষ্ঠ সংসদে বিএনপির বাইরে একটি দল থেকে একজন সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। ফলে এই সংসদে কোন বিরোধীদল ছিল না।
তবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত (পরে পলাতক অবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত) এবং চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা খন্দকার আবদুর রশিদকে ঐ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার চেয়ারে বসানো হয়েছিল।
সংসদ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগ সহ বিরোধীদলগুলোর তীব্র আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য ষষ্ঠ সংসদে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বিল পাস করা হয় ১৯৯৬ সালের ২৭শে মার্চ। বিলটি এনেছিলেন তৎকালীন আইন মন্ত্রী জমির উদ্দিন সরকার।
এরপর ৩০শে মার্চ সংসদ ভেঙে দিয়ে সংশোধনী অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল বিএনপি সরকার।
উনিশ'শ ছিয়ানব্বই সালের ১৯শে মার্চ থেকে ৩০শে মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১২ দিন টিকেছিল সেই ষষ্ঠ সংসদ।
চতুর্দশ সংশোধনী: সংরক্ষিত মহিলা আসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসার পর এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫টি করা হয়েছিল।
তবে এই সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অবসর নেয়ার বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করা হয়েছিল। সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রদর্শনের বিধানও করা হয়েছিল এর মাধ্যমে।
দু'হাজার চার সালের ১৬ই মে সংসদে এই সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমেদ।
কিন্তু বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়ানোর ব্যাপারে বিএনপি সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন পরিচালনার তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধানে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের শর্তগুলোর মধ্যে এক নম্বরেরই ছিল যে, সর্বশেষ অবসর নেয়া প্রধান বিচারপতি প্রধান উপদেষ্টা হবেন। তিনি অসম্মতি জানালে তখন আরও চারটি উপায় নির্ধারণ করা ছিল।
ফলে বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়ানোর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে রাজনৈতিক দলগুলো বিরোধ সংঘাতে রুপ নিয়েছিল।
শেষপর্যন্ত ২০০৭ সারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনা বাহিনীর সমর্থনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল।
পঞ্চদশ সংশোধনী: ধর্মনিরপেক্ষতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠনের দুই বছর পর ২০১১ সালে এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের সংবিধানের মৌলিক কিছু বিষয় ফিরিয়ে আনা হয়।
রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসাবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।
সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল দু'হাজার সাত সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থেকে তারপর নির্বাচন দিয়েছিল।
সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয় ।
বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সর্ম্পকিত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেয়। আদালত অবশ্য বলেছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দু'টি সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই ব্যবস্থায় আর কোন নির্বাচন করার সুযোগ না রেখে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। সেখানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা।
এই সংশোধনীতে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলা হয়। সে সময় সংসদ ভেঙে না গেলেও কোন অধিবেশন বসবে না।
রাজনৈতিক সেই সরকার শুধু রাষ্ট্রের রুটিন কাজ করবে বলে বিধান রাখা হয়েছে।
তবে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী সহ বিভিন্ন দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরোধীতা করেছিলো।
নবম জাতীয় সংসদে সংশোধনীটি পাসের সময় বিএনপি-জামায়াতের সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন।
তখন সংসদে একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিম বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।
আর পক্ষে ভোট পড়েছিল ২৯১টি।
পঞ্চদশ সংশোধনী বিলটি তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সংসদে এনেছিলেন ২০১১ সালের জুন মাসে।
শুধু একটি সংসদে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মেয়াদের সপ্তম সংসদে কোন সংশোধনী আনা হয়নি।
ষোড়শ সংশোধনী: বিচারপতি অপসারণ
এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়।
দু'হাজার চৌদ্দ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে পাস হয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে উত্থাপন করেছিলেন।
তবে আপীল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিল ঘোষণা করে অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ফিরিয়ে নিয়েছিল।
পরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সরকার আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে। দীর্ঘ সময়ে রিভিউ আবেদনের নিস্পত্তি হয়নি। আর এই রিভিউ আবেদন আদালতে নিস্পত্তির অপেক্ষায় থাকলেও বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকার সেই সংশোধনী বহাল রয়েছে।
সপ্তদশ সংশোধনী: নারী আসন এই সংশোধনীর মাধ্যমে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন আরও ২৫ বছর বহাল রাখার বিধান আনা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এডভোকেট হায়দার , প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাতিসংঘ (U.N ) তালিকাভূক্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কম্বাইন্ড ল রাইটস ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন ।
প্রধান কার্যালয় : গাজীপুর জজকোর্ট সংলগ্ন এফ ১০২/১৫ হাক্কানী হাউজিং সোসাইটি,গাজীপুর, ঢাকা। মোবাইল নম্বর : 01701 331047