শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ফ্লেক্সিলোডের কথা বলে স্বাধীন মিস্ত্রী (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে তার ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নেছারাবাদ উপজেলার ধলহার গ্রামে ৭নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই মেয়ের মা সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করে বলেন, আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। এদিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কিছু লোক শালিস আপোসের ব্যবস্থা করেছেন। যে কারনে স্থানীয় চাপে তিনি এখনো থানায় যাননি।
সারেজমিন জানা যায়, স্থানীয় সুধীর মিস্ত্রীর ছেলে স্বাধীন মিস্ত্রী বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্র। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেদের বাসায় বসে ফ্লাক্সি বিকাশের ব্যবসা করেন। সে সুবাধে ওই মেয়ে মাঝেমধ্যে ফ্লাক্সির জন্য স্বাধীনের কাছে আসা যাওয়া করত। ঘটনার দিন বিকেলে স্বাধীনের মা বাবা বাসায় ছিলনা। এসময় ওই মেয়ে ফোনে ফ্লাক্সির জন্য স্বাধীনের কাছে আসে। স্বাধীন তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তি এক পর্যায়ে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ায় বাড়ির সকলে মিলে সেবা সুশ্রূষা করে মেয়েটিকে সুস্থ করেন। পরে মেয়েটি তার পিসির কাছে সব কথা খুলে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মেয়েটির মা জানান, আমার মেয়ে তার পিসিকে নিয়ে স্বাধীনের বাসায় যান ফ্লেক্সি লোড করতে। লোড দিতে দেরি হবে বলে মেয়েকে বসতে বলেন। এ সময়ে তার পিসি বাসায় চলে আসেন। মেয়েকে কৌশলে ঘরে একা রেখে তার হাতের মোবাইলটা নিয়ে গিয়ে তার হাত ও মুখ চেপে ধরে অত্যাচার করেন। একপর্যায়ে আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওই যুবকের মা চঞ্চলা রানী বলেন, আমার ছেলে যে অপরাধ করেছে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওর বিচার করা হবে। যদিও আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার নিকট আত্মীয়দের জানানো হয়েছে সন্ধ্যার পরে সবাইকে নিয়ে বসবো।
অভিযুক্ত স্বাধীন মিস্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি তার ব্যবহারকৃত মোবাইল (০১৫১৯-৬০৯৯২৯) নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ পনির জানান, এ বিষয়ে ভিকটিমের সাথে কথা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।