কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহতরা যেই দলেরই হোক না কেন, সরকার তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সবই করবে সরকার। আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার। এ সময় আহতের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করার আশ্বাসও দেন তিনি।
প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা নিয়ে সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও কেন আন্দোলন শেষ হচ্ছে না?
তিনি বলেন, ‘এতগুলো মানুষ, আমি তো আমার সব হারিয়েছি, বাবা-মা ভাই সব হারিয়েছি, আমি তো জানি মানুষ হারানোর বেদনা কী? আমার চেয়ে বোধ হয় আর কেউ বেশি জানে না।’
বিএনপি-জামায়াত-শিবির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এ জামায়াত-শিবির, বিএনপি, ছাত্রদল তারাই এ সুযোগটা নিয়ে, কোটা আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে সারা দেশব্যাপী এ ধ্বংসাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ব বোধ নেই, দেশের প্রতি কোনো মায়া-মমতা নেই, দেশের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ নেই। আর মানুষকে এরা মানুষ হিসেবেই গণ্য করে না।
এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে আজ সকালে রাজধানীর রামপুরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এডভোকেট হায়দার , প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাতিসংঘ (U.N ) তালিকাভূক্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কম্বাইন্ড ল রাইটস ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন ।
প্রধান কার্যালয় : গাজীপুর জজকোর্ট সংলগ্ন এফ ১০২/১৫ হাক্কানী হাউজিং সোসাইটি,গাজীপুর, ঢাকা। মোবাইল নম্বর : 01701 331047