জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঢাকা ও কলকাতা দুই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করেন। তবে কলকাতায় কাজের ব্যস্ততা কিছুটা বেশি তার। সম্প্রতি সেখানকার নতুন একটি সিনেমার কাজের খবর প্রকাশ করেছেন এ অভিনেত্রী। এ সিনেমা ও সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গে আজকের ‘হ্যালো...’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* কিছুদিন আগেই পালিত হলো আপনার জন্মদিন। জানা গেছে, দিনটিতে বিশেষ কোনো কারণে আপনি বিষন্ন থাকেন। এর কারণ কী?
* প্রতি বছরই জন্মদিনে ভক্ত, অনুরাগী ও শুভাকাক্ষীরা শুভেচ্ছা জানান। তাদের ভালোবাসার পরিমাণ এতটাই বেশি যে, মাঝে মাঝে মনে হয়, এসবের যোগ্য আমি নই। এ ছোট্ট জীবনে এত মানুষ আমাকে ভালোবেসেছেন, এ ব্যাপারটা একজন শিল্পী হিসাবে আমার কাছে অনেক শান্তির, অনেক বড় প্রাপ্তির। প্রত্যেক বছর এ দিনটিতে আমাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় জীবন কতটা সুন্দর, আমি কতটা ভাগ্যবান। তবে ২০১৭ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানে বর্বরোচিত হামলা হয়। তারপর থেকেই এদিন আমার মন খুব খারাপ থাকে। এদিনে আমি জন্মদিন এটা বলতেও লজ্জা লাগে। তবে দীর্ঘদিন পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা কাটিয়ে উঠছি। এ দিনটা আমাদের ইতিহাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া আমি মনে করি আমার কাছে প্রতিটি দিনই গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের। প্রত্যেকটি দিন আমি উপভোগ করি।
* জন্মদিনে আপনার অভিনীত নতুন একটি সিনেমার টিজার প্রকাশ করলেন। কেমন সাড়া পেলেন?
* ‘ওসিডি’ নামে এ সিনেমার টিজার প্রকাশ করাটা ছিল আমার জন্য আনন্দের। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কলকাতার পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল। তার সঙ্গে এটি আমার দ্বিতীয় কাজ। আমার ভক্তরা আমাকে অনেক ভালোবাসেন সেটি আবারও প্রমাণিত হলো টিজার প্রকাশের পর। বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। ১৬ সেকেন্ডের এ টিজারে ভক্তরা আমাকে দেখে এতটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, যা আমার জন্য পরম পাওয়া। আমিও চেষ্টা করি আমার কাজ দিয়ে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার।
*এ সিনেমায় আপনার চরিত্র কেমন?
* সিনেমাটিতে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি আমি। দুই বছর আগে শুটিং শেষ হয়েছে। মুক্তির তারিখ এখনও নিশ্চিত নই। তবে কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়েছে। প্রশংসাও কুড়িয়েছে। আপাতত এর টিজার প্রকাশ করা হয়েছে। আরও বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
* একজন শিল্পী হিসেবে দর্শকদের ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারেন?
* আমি আমার দর্শক-ভক্তদের ভালোবাসা প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করি। আমার কাজের প্রতি আসক্ত হয়েই তারা আমাকে এত ভালোবাসেন। সবাই আমার কাজের কারণেই আমাকে তাদের পছন্দের তালিকায় রাখেন, এটা আমার জন্য প্রপ্তির। আমার কাছে মনে হয় আমি যতটা না করতে পেরেছি তার চেয়ে ভালোবাসাটা বেশি পাচ্ছি। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটা সত্যিই আনন্দের। সবার ভালোবাসায় নিজেকে একজন বিশেষ মানুষ মনে হয়। আরও অনেক কাজ করতে চাই, না হলে এ ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়া সম্ভব হবে না।
* নতুন কী কী সিনেমা হাতে আছে?
একাধিক সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ‘ডিয়ার মা’, ‘জয়া আর শারমীন’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ এ সিনেমাগুলো রয়েছে তালিকায়। তবে এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না। নতুন সিনেমার শুটিংয়ের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছে। শিগ্গির শুরু করব। কাজ শুরু হলে, প্রোডাকশন হাউজগুলো থেকে ঘোষণা এলেই বিস্তারিত জানান হবে।
*সিনেমার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কি বলবেন?
* ঢাকাই সিনেমা এখন ভালো গল্পে, ভালো নির্মাণের হলেও আমার কাছে মনে হয় আমাদের দেশের সিনেমায় প্রফেশনাল আচরণের একটু অভাব আছে। সিনেমাটা যেন ঠিকঠাক ভাবে হয়ে উঠছে না। কোথায় যেন একটা ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। তবে এটাও ঠিক, আগের থেকে সিনেমার পরিবর্তন অনেক লক্ষ্যণীয়। মন্দাবস্থা এখন আর নেই। দর্শকদের মধ্যেও ভালো সিনেমা দেখা ও প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার আগ্রহটা বেড়েছে। তাছাড়া এখন ওটিটিতেও ভালো কাজ হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে দেশি কন্টেন্টের দর্শক চাহিদা বেড়েছে।
* তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল থাকে। আপনাকে নিয়েও অবশ্যই আছে। আপনার ‘সিঙ্গেল থেকে ডাবল’ হওয়ার বিষয়টিই বেশি চর্চায় থাকে....
*তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল বেশি থাকে, এটা ঠিক। মানুষ সবসময় আমার সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান। বিয়ে কবে করছি এটা জানতে চান। আমি সব সময় আমার ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখতেই পছন্দ করি। বিয়ে নিয়ে আপাতত কোনো ভাবনা নেই। তবে যে কোনো সময় কিছু ঘটেও যেতে পারে। আমি অভিনয় করে ক্লান্ত হচ্ছি না। তাই এখন স্বাধীনভাবে অভিনয়টা করতে পারছি, এটা নিয়েই থাকতে চাই। অভিনয়ের বাইরে কোনো কিছুই ভাবছি না। অ বসরে ছাদ বাগানে সময় কাটাই। এই তো চলছে বেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এডভোকেট হায়দার , প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাতিসংঘ (U.N ) তালিকাভূক্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কম্বাইন্ড ল রাইটস ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন ।
প্রধান কার্যালয় : গাজীপুর জজকোর্ট সংলগ্ন এফ ১০২/১৫ হাক্কানী হাউজিং সোসাইটি,গাজীপুর, ঢাকা। মোবাইল নম্বর : 01701 331047