ঢালিউডের আলোচিত গ্ল্যামারগার্ল অধরা খান। ‘নায়ক’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এ নায়িকার বেশ কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। যেগুলো দিয়ে আলোচনায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর দুই সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। এ চিত্রনায়িকার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথোপকথনে - পান্থ আফজাল
ফেসবুকজুড়ে বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর ছবি শোভা পাচ্ছে...
এবার বাইরে আসা হয়েছে ব্যাসিক্যালি মাকে নিয়ে। এখন সিঙ্গাপুরে রয়েছি। আমরা চিকিৎসার জন্য এসেছি। এর আগে কুয়ালালামপুর গিয়েছিলাম। এরপর থাইল্যান্ড। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর। দুই দেশ পাশাপাশি হওয়াতে একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছি। আসলে কখনো মাকে নিয়ে ঘোরা হয়নি, তাই চিকিৎসার জন্য যেহেতু বের হয়েছি, ভাবলাম একটু ঘোরাঘুরি করে তারপর ডাক্তার দেখাই। আর যেহেতু আমি একটু ঘুরতে পছন্দ করি তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলাম আর কি! এখন সিঙ্গাপুরে মায়ের চিকিৎসা নিচ্ছি, তারপরই দেশে ফিরব।
মুক্তির অপেক্ষায় থাকা দুটি সিনেমার আপডেট কী?
সিনেমাগুলোর কাজ শেষ; ডাবিংও শেষ। সিনেমা দুটি হচ্ছে সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘দখিন দুয়ার’ ও জাহিদ হোসেনের ‘ঋতুকামিনী’। দুটি সিনেমার ডাবিংও শেষ করেছেন তিনি। ‘দখিন দুয়ার’ সিনেমায় আমি খেয়া চরিত্রে এবং ‘ঋতুকামিনী’তে আমি কুমকুম চরিত্রে অভিনয় করেছি। ‘ঋতুকামিনী’ সিনেমাটি আগামী বছর মুক্তি পাবে।
নতুন কোন কাজ হাতে নিয়েছেন?
এখন আমার হাতে তিনটি সিনেমার কাজ রয়েছে। একটি সিনেমার কাজ শুরু হবে ডিসেম্বরে। একই পরিচালকের দুটি সিনেমা, সংগত কারণেই এখন কিছু প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বাকি একটি সিনেমার কাজ হবে লন্ডনে।
কলকাতা-বলিউডের ছবিতে অধরা ধরা দেবেন কবে?
আমি আসলে জানি না। ২০২১-এ একটি মুভির কাজ শুরু করেছিলাম। ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়ে গেছে। এখন বাদবাকিটা কী হবে কে জানে।
সিনেমা কম করা হয় কেন?
আমি খুবই চুজি। সিনেমায় চুজির থেকে বড় বিষয়টা হলো আমার অ্যাডজাস্টমেন্ট খুব বেশি হয় না। যাদের সঙ্গে কাজ করে এসেছি দেখা যাচ্ছে ঘুরে-ফিরে তাদের প্রজেক্টেই কাজ করছি। তাই নতুনদের সঙ্গে কাজ করাটা কম হচ্ছে। যেহেতু আমাদের ফ্যামিলি বিজনেসেও সময় দিতে হয়, সেজন্য হয়তোবা কাজ কম করা হয়। আর মাঝখানে তিন বছর তো করোনাই ছিল। সেসময় কেউ-ই তো সেভাবে কাজ করতে পারেনি। যার কারণে কাজটা কম মনে হচ্ছে সবার কাছে। সৈকত নাসিরের ‘সুলতানপুর’ রিলিজ হলো ২০২৩-এ। সেটা কিন্তু ২০২০-এ শুট করা। ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ রিলিজ হলো ২০২১-এ , সেটা কিন্তু আগেই করা।সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সিন্ডিকেট নিয়ে মন্তব্য...
সিন্ডিকেট তো আছেই। এটি তো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সব জায়গাতেই আছে। বাংলাদেশের ফিল্মেও আছে। এটা আমরাও জানি। এটা না বোঝার কিছু নেই।ভবিষ্যৎ প্ল্যান কী?
তেমন কিছুই নাই। আমি আসলে একটু অগোছালো। গুছিয়ে কিছুই করতে পারি না। যা-ই করি না কেন খুবই হুটহাট করে। নিজের মতো চলছি, কাজ করছি। কাজ করতে থাকবো কনটিনিউয়াসলি। দেখা যাক কী হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এডভোকেট হায়দার , প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাতিসংঘ (U.N ) তালিকাভূক্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কম্বাইন্ড ল রাইটস ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন ।
প্রধান কার্যালয় : গাজীপুর জজকোর্ট সংলগ্ন এফ ১০২/১৫ হাক্কানী হাউজিং সোসাইটি,গাজীপুর, ঢাকা। মোবাইল নম্বর : 01701 331047