সাদামাটা আর্সেনালের সামনে ইতিহাস–সেরা রিয়াল মাদ্রিদ

0
াকট্কচট

ইউরোপিয়ান পরাশক্তিদের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকে আর্সেনালের নাম। আর্সেন ওয়েঙ্গারের অধীন খেলার সময় নামের পাশে জুটেছিল ‘ইনভিন্সিবল’ বা ‘অপরাজেয়’ খেতাবও। মাঝে লম্বা সময়ের ব্যর্থতার পর কয়েক মৌসুম ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে ক্লাবটি। মিকেল আরতেতার অধীন চেষ্টা করছে অতীত গৌরব পুনরুদ্ধারেরও।

তবে অতীত গৌরব বলতে যা বোঝায়, আর্সেনালের সবটুকুই কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলে। ইউরোপিয়ান পারফরম্যান্স বিবেচনায় আর্সেনাল যে বড্ড সাদামাটা এক দল। শিরোপা দূরে থাক, ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আর্সেনাল ফাইনালই খেলেছে একবার।

ইউরোপিয়ান পরাশক্তিদের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকে আর্সেনালের নাম। আর্সেন ওয়েঙ্গারের অধীন খেলার সময় নামের পাশে জুটেছিল ‘ইনভিন্সিবল’ বা ‘অপরাজেয়’ খেতাবও। মাঝে লম্বা সময়ের ব্যর্থতার পর কয়েক মৌসুম ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে ক্লাবটি। মিকেল আরতেতার অধীন চেষ্টা করছে অতীত গৌরব পুনরুদ্ধারেরও।

তবে অতীত গৌরব বলতে যা বোঝায়, আর্সেনালের সবটুকুই কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলে। ইউরোপিয়ান পারফরম্যান্স বিবেচনায় আর্সেনাল যে বড্ড সাদামাটা এক দল। শিরোপা দূরে থাক, ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আর্সেনাল ফাইনালই খেলেছে একবার।

রিয়াল মাদ্রিদ ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে সফলতম দল। যাদের দখলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ১৫টি শিরোপা। মাঠে নামার আগেই রিয়ালের চেয়ে মানসিকভাবে অনেকটা পিছিয়ে থাকবে লন্ডনের ক্লাবটি।

ইতিহাস–পরিসংখ্যান বিপক্ষে থাকলেও আর্সেনালেরও আছে অনুপ্ররেণা। তাদের ফিরে যেতে হবে ২০০৫–০৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে। সেবার নিজেদের ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার পথে দ্বিতীয় রাউন্ডে এই রিয়ালকেই হারিয়েছিল আর্সেনাল।

প্রথম লেগে রিয়ালের মাঠে ১–০ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ড্রয়ে। চ্যাম্পিয়নস লিগে সেবার ছাড়া আর রিয়ালের মুখোমুখি হয়নি আর্সেনাল। ফাইনালে অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা আর্সেনালকে ২–১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা।

নিজেদের ইতিহাসে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার পথে দ্বিতীয় রাউন্ডে এই রিয়ালকেই হারিয়েছিল আর্সেনাল।
দল হিসেবে আর্সেনাল এখন বেশ সংগঠিত। প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটি শিরোপা জিততে না পারলেও গত কয়েক মৌসুম ধরে বেশ ধারাবাহিক। দুই লেগ মিলিয়ে রিয়ালকে হারিয়ে তারা যদি সেমিফাইনালে যায়, তবে তা মোটেই অঘটন হবে না। কিন্তু কাজটা মোটেই সহজ হবে না। কারণ, প্রতিপক্ষের নাম যে রিয়াল।

চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মানেই যে অতিমানবীয় কিছু। যেকোনো মুহূর্তে, যেকোনো পরিস্থিতিতে ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে তারা। তাই এই রিয়ালকে নিয়ে আর্সেনালকে অবশ্যই বাড়তি সতর্ক থাকতেই হবে।

রিয়ালের সামর্থ্যের সবটাই জানা আছে আর্সেনালের কোচ আরতেতার। বড় মঞ্চে রিয়াল কতটা বিপজ্জনক, সেটা মনে করিয়ে আরতেতা বলেছেন, ‘বড় মঞ্চে বিশেষ মুহূর্তের জন্ম দিতে পারে তারা।’

রিয়ালের শক্তি–সামর্থ্য জেনেও আরতেতা অবশ্য নিজের জয়ের ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী, ‘আমরা নিজেদের গল্প তৈরি করতে যাচ্ছি এবং আমরা আরও এগিয়ে যাব। আগামীকাল (আজ) আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ অপেক্ষা করছে।’

সুযোগ কাজে লাগাতে আর্সেনালকে নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটাই ঢেলে দিতে হবে। নয়তো আরেকটি শিরোপার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সেই চেনা গল্পই লিখবে রিয়াল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *