ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে চাপে রাশিয়া-ইউক্রেন, প্রথমবার যে প্রস্তাব পুতিনের

0
nbmbnvmn

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সরাসরি শান্তি আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রায় তিন বছর পর যুদ্ধবিরতির সুযোগে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দিলেন তিনি। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা বন্ধের জন্য আলোচনায় বসতে রাজী কিয়েভ। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মস্কো শুধু ইউক্রেন নয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও শান্তি বজায় রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।

ইস্টার সানডে উপলক্ষে রাশিয়া ঘোষিত ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষে সোমবার (২১ এপ্রিল) ফের শুরু হয় পাল্টাপাল্টি হামলা। এদিন ২০ মিনিটের ব্যবধানে কুরস্ক ও বেলগোরোদে শতাধিক ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিতের দাবি করেছে রাশিয়া। আর ইউক্রেনের দাবি, ৯৬ রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৪২টি ভূপাতিত করেছেন তারা। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় সম্মুখ যুদ্ধ হয়েছে অন্তত ৯৬টি।

এমন সংঘাতের মধ্যেই ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন বছরের যুদ্ধবস্থার মধ্যে পুতিনের এমন প্রস্তাব এবারই প্রথম। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছেন, মস্কো সব সময় শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। এ সময় কিয়েভের পক্ষ থেকেও একই ধরনের মনোভাব প্রত্যাশা করেন তিনি।

পুতিনের এমন বক্তব্যের পরে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যেহেতু বেসামরিক স্থাপনায় হামলা বন্ধের বিষয়ে কথা বলেছেন, সেহেতু তিনি দ্বিপাক্ষিক ও শান্তিপূর্ণ আলোচনার কথাই বুঝিয়েছেন।

পুতিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কিও। তিনি বলেন, বেসামরিক স্থাপনায় হামলা বন্ধে প্রস্তুত কিয়েভও। লন্ডনে আসন্ন বৈঠকের মূল লক্ষ্যই হবে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ বাড়ানো। সেখান থেকেই স্থায়ী শান্তির ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর দুপক্ষের মধ্যে এখনো সরাসরি আলোচনা হয়নি। শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুপক্ষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় সম্প্রতি মধ্যস্থতা থেকে সরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারিই রাশিয়া-ইউক্রেনকে চাপে ফেলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *