শেখ হাসিনা নাকি আশুলিয়ায় গণহত্যা, ট্রাইব্যুনালে কোন প্রতিবেদন আগে


জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় এরই মধ্যে আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তদন্ত শেষ বা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনটি মামলা। এর মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা, সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা এবং রাজধানীর রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা ব্যক্তির ওপর গুলির ঘটনায় হওয়া মামলা।
তিনটির মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সোমবার (১২ মে) চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শুক্রবার (৯ মে) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আশা করছি আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর তা জমা দেওয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র বা ‘ফরমাল চার্জ’ গঠনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
৩৩৯টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হলে এখানে এখন পর্যন্ত অভিযোগ এসেছে ৩৩৯টির মতো। তদন্ত চলছে ৩৯টির।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়েছে, তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে হত্যা ও গুমসহ ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে ২২টি (বিবিধ) মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত মোট অভিযুক্ত ব্যক্তি শেখ হাসিনাসহ ১৪১ জন। তাদের মধ্যে ৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক ৮৭ জন। ১৪১ আসামির মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক, ৬২ জন পুলিশ (র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীন সদস্য) এবং অবসরপ্রাপ্ত বা বরখাস্ত করা সামরিক কর্মকর্তা ৯ জন।
একটি মামলার প্রতিবেদন দাখিল
চাঁনখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে গত ২০ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম। প্রতিবেদনে আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
আসামিরা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। এই আট আসামির মধ্যে শেষের চারজন এখন কারাগারে, বাকিরা পলাতক। কারাগারে থাকা চার আসামিকে নিয়মিত ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে।
প্রসিকিউশন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তদন্ত শেষ বা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে—এমন মামলা রয়েছে আরও তিনটি। এর মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া মামলা, সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা এবং রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা ব্যক্তির ওপর গুলির ঘটনায় হওয়া মামলা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন স্বল্প সময়ের মধ্যে দাখিল করা হতে পারে। ট্রাইব্যুনাল তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
গণহত্যার অভিযোগে হাজারেরও বেশি ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত এক হাজার ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিও ও ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহ (এক হাজারের বেশি ভিডিও), পর্যালোচনা, যাচাই-বাছাই ও জিও লোকেশন যাচাইয়ের কাজ চলমান।
প্রসিকিউশন কার্যালয় জানায়, গুমবিষয়ক তদন্ত কার্যক্রমে ঢাকা শহরের তিনটি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া জেলায় গুমের তিনটি কেন্দ্র (আয়নাঘর, হাসপাতাল, এলআইসি ইত্যাদি বিভিন্ন কোডনেমে পরিচিত) পরিদর্শন ও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ১৫টি জেলায় তদন্ত পরিচালনার উদ্দেশ্যে একাধিকবার পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্তকাজে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসা পর্যায়ে এ পর্যন্ত চারটি গণশুনানি গ্রহণ করা হয়েছে। তাতে আট শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন।
গণহত্যা-সংক্রান্ত ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত
গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা-সংক্রান্ত অপরাধের বিভিন্ন কল রেকর্ড, সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ও বার্তা আদান-প্রদানের মতো ডিজিটাল প্রমাণ (তথ্য-উপাত্ত) সংগ্রহ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়।
গত ১৪ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি, সোর্স (সূত্র) ও সংবাদমাধ্যম থেকে ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ, কল রেকর্ড, মেসেজ (বার্তা) প্রভৃতি। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এগুলোর ফরেনসিক রিপোর্ট (প্রতিবেদন) দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে একটি পিটিশন (আবেদন) করা হয়েছিল। যে মামলার সোর্স ধরে ট্রাইব্যুনালে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পিটিশন করা হয়েছে, সে মামলার আসামি শেখ হাসিনা।
পরে কোন মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, খুব শিগগির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হতে পারে বলে আশা করছি। আমরা জাতির কাছে কমিটেড। ইনশাআল্লাহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কমপ্লিট করতে সক্ষম হবো।
শেখ হাসিনার প্রতিবেদনের বিষয়ে আদালতকে জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রিপোর্টের যে বর্তমান স্ট্যাটাস, কোন পর্যায়ে তদন্তটা আছে, সেটা আমরা বলেছি। আপনারা মনে রাখবেন যে তদন্ত কাজে যতটুকু সময় লাগবে সেটুকু সময় কিন্তু আমরা তদন্ত করবো। কারণ আমরা যদি বেশি তাড়াহুড়ো করি, তদন্ত কাজে যদি কোনো ত্রুটি থাকে, সেই ত্রুটির ফাঁক দিয়ে আসামি বেরিয়ে যায় তাহলে জাতির কাছে আমরা দায়বদ্ধ থাকবো। সেই দিকটা বিবেচনায় রেখে একদম ত্রুটিহীনভাবে রিপোর্টটা যাতে তৈরি করতে পারে তদন্ত সংস্থা, আমাদের সেই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় যে অভিযোগে রয়েছে, সেই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন যে কোনো সময় সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে দাখিল হতে পারে।’
তদন্তের কী কী বিষয়ে আপনারা গ্রহণ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে যে সব প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন তাদের বক্তব্য আমরা গ্রহণ করেছি। ভিকটিম যারা আছেন, তাদের বক্তব্য সংগ্রহ করেছি, হাসপাতাল থেকে ডকুমেন্ট উদ্ধার করেছি। বুলেট উদ্ধার করেছি। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, ড্রোন ফুটেজ উদ্ধার করেছি। এসব বিষয় সামনে নিয়ে মোটা দাগে যে কনক্লুশনের দিকে যাচ্ছে, এটা একটা রাষ্ট্রীয়ভাবে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে দিয়েছিলেন। তার মন্ত্রিপরিষদ, তার পুলিশ বাহিনী সেটি ক্যারিআউট করেছেন এবং তারা হত্যার পরিকল্পনা সাজানো এবং মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের কাজ করেছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, যার কারণে এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ, এই মানবতাবিরোধী অপরাধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটিতে শেখ হাসিনা ও অন্যান্য যে আসামিরা আছেন তাদের পজিশন অনুযায়ী এ মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন এবং সেই অনুযায়ী তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হবে বলে আমরা জানি।
অপরাধের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গণহত্যার যে নিষ্ঠুরতা ছিল সেটা ছিল পূর্বপরিকল্পিত, সেটা ধাপে ধাপে বেড়েছে এবং দেশজুড়ে হয়েছে। এটার প্রধান নির্দেশদাতা হিসেবে জাতিসংঘ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিহ্নিত করেন। তার সঙ্গে তদানীন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশের কথা বলা হয়েছে, তাদের অর্ডারের কথা বলা হয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বাকি যারা আছেন, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এই অ্যাভিডেন্স আসার পরে ন্যাচারালি আমাদের তদন্ত রিপোর্টের মধ্যে সেটা অন্তর্ভুক্ত হবে বলে মনে করছি।
তিনি জানান, যেহেতু জাতিসংঘের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটা আন্তর্জাতিক সংগঠন, যাদের কারও পক্ষে বাংলাদেশে পলিটিক্যাল বায়াসের কোনো কারণ নেই। তারা যেহেতু গণহত্যার ব্যাপারে সুস্পষ্ট একটা রিপোর্ট দিয়েছে, এটা আমাদের মামলা প্রমাণের জন্য বড় অ্যাভিডেন্স হিসেবে কাজ করবে।
আদালতের প্রসঙ্গ টেনে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, তাড়াহুড়ো করে তদন্ত করতে গিয়ে যেন কোনো ধরনের ত্রুটিপূর্ণ না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবো। আমরা এটা কোর্টকে জানিয়েছি। মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরাধ এবং এটার তদন্ত প্রক্রিয়া জটিল। এ কারণে এটাকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন দিনরাত কাজ করছে। এ ব্যপারে আমরা আপনাদের মাধ্যমে পুরো জাতির কাছে মেসেজটা দিতে চাই যে আমরা দিনরাত কাজ করছি। আমরা তদন্তের একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। আশা করছি, খুব সহসাই এ রিপোর্টগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম জাগো নিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের পর রাজধানীর চাঁনখারপুলে সংঘটিত গণহত্যার একটি প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এটিই গণহত্যার অভিযোগের প্রথম প্রতিবেদন। আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় যে অভিযোগে রয়েছে, সেই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন শিগগির হাতে পাবো বলে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের জানিয়েছে।
‘আমরা জানতে পেরেছি যে, আশুলিয়ার আগে হোক বা পরে হোক আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে গণহত্যার অভিযোগটি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। তার কারণ হচ্ছে একটা হলো আসামিভিত্তিক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও তার সংশ্লিষ্টতা এবং আরেকটি হলো ঘটনাস্থলকেন্দ্রিক। তার মধ্যে ঘটনাস্থলকেন্দ্রিক অভিযোগ হলো যেটি প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত সংস্থা থেকে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠনের জন্য আদালতে দাখিল করবো। চাঁনখারপুলেরটা আমরা পেয়েছি আর আশুলিয়ারটা প্রায় প্রস্তুত। ব্যক্তিকেন্দ্রিক অভিযোগ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারটা আমরা সবার আগে প্রস্তুত করতে তদন্ত সংস্থাকে বলেছি। তদন্ত সংস্থা সেই মর্মে কাজ করে যাচ্ছে।’
অগ্রাধিকার দেওয়া প্রসঙ্গে গাজী তামিম জানান, শেখ হাসিনা হলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে টপ কমান্ডার বা টপ সুপিরিয়র। কারণ তার নির্দেশে, তার কথার অনুপ্রেরণায়, তার ইনস্ট্রাকশনে তার সাব-অর্ডিনেটররা এসব অপরাধ করেছে। ওনার অপরাধের তদন্ত শেষ করতে পারলে ওনার পাশাপাশি সিভিলিয়ান যে সব তদন্ত কাজ আছে তাদের তদন্ত কাজও প্রায় ৫০ শতাংশ হয়ে যাবে। তাকে (শেখ হাসিনা) রেখে যদি বাদ বাকি আসামিদের তদন্ত কাজ করা হয় তাহলে আলাদা তদন্ত কবে। আর ওনার তদন্ত আগে করা হলে ওনার সাব-অর্ডিনেটরদের অর্ধেকেরও বেশি তদন্ত শেষ হয়ে যাবে। এজন্য তারটি প্রাধান্য দিচ্ছি।