গ্রাহকের ৪৪ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ‘আশার’ ম্যানেজার


ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রাহকের ৪৪ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আশা নামে একটি এনজিওর ম্যানেজার গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দিনাজপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ছয় সদস্যের একটি দল তদন্ত করছে।
সম্প্রতি জেলা সদরের ভুল্লী বাজার এলাকায় অবস্থিত এ সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে আশা এনজিওর কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি না হলেও বুধবার (১৪ মে) রাতে ভুল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, আশা এনজিও’র ভুল্লী ব্রাঞ্চ অফিস ম্যানেজার কয়েক দিন আগে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় বলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে অফিস কর্তৃপক্ষ। সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।
ভুল্লী ব্রাঞ্চ ও আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাম রাব্বানী ম্যানেজার থাকার সময় বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে বিকাশ ও নগদে লেনদেন করেছেন। আবার অনেক গ্রাহকেরা কাছ থেকে ২০/৫০ হাজার টাকা নিয়ে সেই টাকা অফিসে জমা দেননি। তার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগেই ভুল্লী ব্রাঞ্চ থেকে তাকে ক্লোজড করা হয়।
পরবর্তীতে গেল চারদিন আগে সদরের গড়েয়ায় বদলি করা হয়। সেখানে অফিস করার কথা থাকলেও এরপর থেকে ৪৪ লাখ টাকাসহ তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে শোনা যাচ্ছে চুয়াল্লিশ লাখ টাকা নেই। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত অর্থে কত টাকার গড়মিল রয়েছে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। হেড অফিস থেকে একটি টিম এসেছে তারা তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ হলেই বলা যাবে কত টাকা সঙ্গে নিয়ে তিনি উধাও হয়েছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
তবে ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা নজেন্দ্র নাথ রায় জানান, আগের ম্যানেজার অর্থ নিয়ে উধাও হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ তদন্ত টিম করে দিয়েছে। বর্তমানে পাঁচজন এসেছেন তদন্ত করছেন। তদন্তের পর বলা যাবে কোন কোন গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়েছে সাবেক ম্যানেজার। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন।