এক বছরে ৫৮৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি

0
hjjkl

রাজকীয় গয়না, শাড়ি বা পোশাকে প্রায়ই নজর কাড়েন নীতা আম্বানি। গত বছর মুকেশ–নীতা দম্পতির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ে নিয়ে হয়েছে নানা আলোচনা–সমালোচনা। সে আলোচনা শুধুই বলিউডপাড়াতেই থেমে থাকেনি, তা ছড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বে। আয়োজনটা যখন এমন চোখধাঁধানো আর জমকালো, তখন তা নিয়ে তো আলোচনা হবেই। এবার নতুন করে আলোচনায় ভারতের ধনকুবের দম্পতি মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি। তবে এবারের কারণটা একেবারেই ভিন্ন। প্রথমবারের মতো তাঁদের নাম উঠেছে টাইম সাময়িকীর সবচেয়ে দানশীল ১০০ ব্যক্তির তালিকায়।

টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দম্পতি ২০২৪ সালে ৪০৭ কোটি রুপি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৮৫ কোটি টাকা) দান করেছেন। তাঁদের এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে ভারতের নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তা কোটি কোটি ভারতীয়দের জীবনে প্রভাব ফেলছে।

নারীদের এগিয়ে যাওয়ার প্রশিক্ষণ, টেকসই কৃষিসহায়তা, স্কুল ও হাসপাতাল নির্মাণ, দৃষ্টিহীন মানুষের চিকিৎসাসহায়তায় এর বেশির ভাগ টাকা ব্যয় হয়েছে।

শুধু তা–ই নয়, ক্রীড়াবিদদের জন্য আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন নীতা আম্বানি। তিনি ছেলে আকাশের সঙ্গে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ক্রিকেট দলের মালিকানায় রয়েছেন। নীতা আম্বানি টাইম সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পেশাদার ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের টিকে থাকার লড়াইটা কঠিন। তাই তাঁদের প্রতিটি সাফল্য আরও বেশি অর্থবহ।’
মুকেশ-নীতা দম্পতির এই উদ্যোগে রয়েছে স্কলারশিপ কর্মসূচিতে অর্থসহায়তা, নারীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ, গ্রামাঞ্চলে টেকসই কৃষি কার্যক্রম, পানি সংরক্ষণ প্রকল্প, হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন, দৃষ্টিশক্তি সমস্যায় ভোগা মানুষদের চিকিৎসাসহায়তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন।

টাইম সাময়িকীর সবচেয়ে দানশীল ১০০ ব্যক্তির তালিকায় ভারত থেকে আরও জায়গা করে নিয়েছেন আজিম প্রেমজি ও নিখিল কামাথ। তালিকায় আরও আছেন প্রভাবশালী টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তাঁরা দুজনেই নারীশিক্ষা ও নারীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

এই দম্পতি সম্পর্কে টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির দাতব্য কর্মকাণ্ড যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি বিস্তৃত তাঁদের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যও, যেখান থেকে এসেছে আনুমানিক ১১০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ। ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানি এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নীতা আম্বানি নানা উদ্যোগে অর্থায়ন করেছেন, যার সুফল পৌঁছেছে লাখ লাখ মানুষের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *