বিসিবি সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব কখন কীভাবে পেয়েছেন, জানালেন আমিনুল


তাঁকে ঘিরে আগ্রহটা ছিল অনেকেরই। আইসিসিতে কাজ করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কেন যুক্ত হন না? এমন প্রশ্ন শত শতবার শুনেছেন, তা সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়েছেন বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলামও। ওই উত্তর দিতেই এবার চলে এসেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বলেছেন তিনি।
এরপর জানিয়েছেন কীভাবে তিনি সভাপতি হলেন, তা–ও। গত মাসের শেষ দিকে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কাছ থেকে একটি ফোন পান আমিনুল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা আছে কি না, জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। তখনো তাঁকে নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্বের জন্য বলা হয়নি।
তবে ওই ফোন পেয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি, ‘আমাকে বলা হয় যে আপনাকে একটা সুযোগ দেওয়া হবে, আপনি কী সুযোগ গ্রহণ করবেন? আমি যে আপনাদের এত প্রমিস করতাম বা আমি অপেক্ষা করতাম একটা ডাকের জন্য। যখন এই ডাক পেয়েছি, তখন আর পেছনে তাকাইনি। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, কীভাবে এই ডাকটাকে সম্মান করতে পারি।’
গতকাল রাতে ফারুক আহমেদকে বিসিবি পরিচালক পদে দেওয়া মনোনয়ন বাতিল করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ফলে তাঁর সভাপতি পদও চলে যায়। এরপর কাল রাতেই আমিনুলকে কাউন্সিলর করে এনএসসি। আজ বিকেলে তাঁকে পরিচালক পদে মনোনয়ন দেয় এনএসসি। সন্ধ্যায় বোর্ড সভায় পরিচালকেরা তাঁকে সভাপতি মনোনয়ন করেন।
আজ থেকে তাঁর জীবনে একটা নতুন কিছুর শুরু হয়েছে বলে জানান আমিনুল, ‘এটা আমার জন্য নতুন একটা পরীক্ষা বা একটা সুযোগ।’ তিনি আরও বলেন, ‘চেষ্টা করব, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। আমি বিশ্বাস করি, শুধু ১১ জন ক্রিকেট খেলে না, বাংলাদেশের সবাই ক্রিকেট খেলে।’
আমিনুলের কথায় স্পষ্ট, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু তেমন হলে কেন অল্প সময়ের জন্য এসেছেন, তা জানতে চাওয়া হয় আমিনুলের কাছে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘প্রথমে আমি দেখব…এর আগেও বলেছি, আমি পেশাদার লোক। ক্রিকেট আমার পেশা। একসময় খেলতাম, তারপর ক্রিকেট উন্নয়নে কাজ করছি। এটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। যদি আমি ভালো করি, এই কাজটাই হয়তো আইসিসিতে ফিরে গিয়েও করতে পারি। বা এখানে যদি…এখানে জানি না কী হবে। তবে আপাতত আমার লক্ষ্য হচ্ছে একটা শর্ট টার্মের জন্য ভালো করে কাজ করা।’
সভাপতি হিসেবে বিসিবির আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন আমিনুল। অক্টোবরের ওই নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টাকে ‘টি-টোয়েন্টি’ ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন আমিনুল। নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করে এই অল্প সময়েই একটা ছাপ রেখে যেতে চান।
আমিনুল বলেছেন, ‘যেহেতু সময়টা কম, আমরা জানি যে টেস্ট ম্যাচ পাঁচ দিনের হয়। ওয়ানডে হয় সাত ঘণ্টার। আমি একটা কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছি। একটা ভালো টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলব, যেটা আপনারা দীর্ঘদিন মনে রাখবেন। চেষ্টা করব, ক্রিকেটটা যাতে সবাই খেলতে পারে, যাতে সবার খেলা হয়। ক্রিকেটটা সবার জন্য। এই ধারাটা শুরু করে দিয়ে যেতে চাই।’