নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলছে ভোট


দীর্ঘ ছয় মাস ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে যে অস্থিরতা চলছে, তার অবসান ঘটাতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আজ মঙ্গলবার ভোট দিচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকেরা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের হঠাৎ সামরিক আইন জারির জেরে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়।
ভোটে যেই নির্বাচিত হন, তাঁকে দেশ পরিচালনায় কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। নতুন প্রেসিডেন্টকে একদিকে সামরিক শাসনের প্রচেষ্টায় গভীরভাবে বিচ্ছিন্ন ও আঘাতপ্রাপ্ত সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, অন্যদিকে সামাল দিতে হবে রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী আর্থিক নীতির ধাক্কা মার্কিন মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার ওপরও পড়েছে।
স্থানীয় সময় আজ সকাল ছয়টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, রাত আটটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এবার ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজারের বেশি ভোটারের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আগাম ভোট দিয়েছেন।
দেশজুড়ে ১৪ হাজার ২৯৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী উদারপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির লি জায়ে-মিয়ং এবং রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির কিম মুন-সু—উভয়েই দেশে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁদের মতে, নতুন একটি গণতান্ত্রিক দেশ ও শিল্প শক্তিতে রূপান্তরের সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক মডেল গড়ে উঠেছিল, তা এখন আর দেশের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না।
রাত আটটায় ভোট গ্রহণ শেষে তিনটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালিত বুথ ফেরত জরিপ প্রকাশ করা হবে। আর ব্যালট প্রথমে মেশিনে বাছাই ও গণনা করা হবে, এরপর নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কর্মকর্তারা নিজেদের হাতে তিনবার তা যাচাই করবেন।
ভোটের ফলাফল কতক্ষণে পাওয়া যাবে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০২২ সালে ভোট শেষ হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে। বিজয়ী প্রার্থী নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সে দিনই শপথ গ্রহণ করবেন।