যে কৌশলে নাহিদ রানাকে হারিয়ে দিয়েছেন মুজারাবানি

0
drrtgedr

সিলেট টেস্টের আগে সবার মুখে মুখে শুধু নাহিদ রানার নাম। বাংলাদেশের ভক্তরা মেতেছিলেন ডানহাতি গতিতারকাকে নিয়ে। কারো কারো ধারণা ছিল, নাহিদ রানার ১৪৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বল সামলাতে পারবেন না জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তারা মাথায়ই আনেননি টেস্ট ক্রিকেটে গতি দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ঘায়েল করা কঠিন। গতির চেয়ে সুইং আর বাউন্স অনেক বেশি কার্যকর অস্ত্র।

টেস্ট শুরুর পর তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন জিম্বাবুয়ের ফাস্টবোলার ব্লেসিং মুজারাবানি। ম্যাচে ১২২ রানে ৯ উইকেটের (প্রথম ইনিংসে ৩/৫০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৭২) পতন ঘটান সাড়ে ৬ ফুটের বেশি লম্বা এ পেসার।

বিপরীতে নাহিদ রানার নামের পাশে জমা পড়েছে ৩ উইকেট (৩/৭৪ ও ০/২৪)। তার চেয়ে বরং অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ অনেক বেশি কার্যকর বোলিং করেছেন। দুই ইনিংসে (৫/৫২, ৫/৫০) ১০২ রানে ১০ উইকেট শিকার করেন মিরাজ।

ডানহাতি স্পিনারের টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো এক টেস্টে ১০ নেওয়া কীর্তিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল বটে। কিন্তু ম্যাচ উইনিং স্পেলটা ছিল মুজারাবানিরই।

কাজেই খেলা শেষে নাহিদ রানার চেয়ে সবার মুখে মুজারাবানির প্রশংসাই বেশি। অথচ ধারণা করা হচ্ছে, নাহিদ রানার বোলিং কার্যকরিতার কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ পেস বোলিং পিচ বেছে নিয়েছিল। এ তরুণ ফাস্টবোলারের বাড়তি গতি জিম্বাবুয়েকে বেসামাল করে দিতে পারেন, এমন চিন্তায় বিভোর ছিলেন অনেকেই। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

কেন তা হয়নি? সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সব সময়ের সেরা ব্যাটিং প্রতিভা ও এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ আশরাফুল। তার মূল্যায়ন, বলে গতি বেশি থাকলেও বাউন্স আদায়ের অভিজ্ঞতা নাহিদ রানার চেয়ে মুজারাবানির অনেক বেশি।

সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘সিলেটের উইকেট শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে অনেক বেশি কাজে লাগাতে পেরেছে। কারণ হলো, জিম্বাবুয়ান ফাস্টবোলাররা গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি টেস্ট খেলেছেন। কোন পিচে কোন লাইন ও লেন্থে বল করলে সফল হওয়া যাবে, ব্যাটারদের একটু বিপাকে ফেলা ও বিব্রত করা যাবে, তা ওদের ভালোই জানা। লেন্থ বুঝতে পেরেছে চমৎকারভাবে। কোন লেন্থে বল করলে বাউন্স বেশি আদায় করা সম্ভব, সেটা জিম্বাবুয়ের মুজারাবানি যত ভালো বুঝেছেন, আমাদের পেসাররা তত ভালো বোঝেননি, পারেননি।’

অভিজ্ঞা নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘নাহিদ রানা দ্রুততম বোলার। কিন্তু টেস্ট খেলেছেন খুব কম। কোন লেন্থে বল করলে বাড়তি বাউন্স আদায় করা যাবে সেই অভিজ্ঞতাটা এখনো হয়নি। হয়তো অনেকে বলবেন, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও খালেদরা তো নিয়মিতই সাদা বলে বল করছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের বোলিং আর টেস্টের বোলিংয়ের ধরনে অনেক পার্থক্য। টেস্টের বোলিংয়ের লেন্থ বুঝতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *